বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তুলনামূলক চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শিক্ষার্থীর সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
২০১২সালে শিক্ষাদান কার্যক্রম শুরু করে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩হাজার ছাড়িয়েছে। এতো অল্প সময়ে শিক্ষার্থী সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থান দখল করার কারণ কি প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মকবুল আহমেদ খান বলেন, ‘দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬টি আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৬টি। মোট শিক্ষার্থীর একটা ছোট্ট অংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। বাকী শিক্ষার্থীদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যদি আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীর সামর্থ্য-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হয় তাহলে উচ্চশিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আমরা সেই চেষ্টাটা করে যাচ্ছি। ’
উপাচার্য আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষকমন্ডলী, মানসম্মত পড়াশোনা, স্থায়ী ক্যাম্পাস, টিউশন ফি কম ইত্যাদি কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ একটি অলাভজক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর , উপাচার্য প্রফেসর ড. মককবুল আহমেদ খান, রেজিস্ট্রার আ.ফ,ম গোলাম হোসেন এবং প্রোক্টর ড. কাজী বজলুর রহমান এই চারজন ব্যক্তিই মুক্তিযোদ্ধা।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাক ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।