বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য এক দিন ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মুক্তিকামী বাঙালির ওপর একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চালিয়েছিল নির্মম হত্যাযজ্ঞ। ১৯৭১সালের ২৬মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে পাকিস্তানের শোষণ ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে সংগ্রামে নামার আহ্বান জানান।

৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা ঘটে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের পটভূমিতে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগমুহূর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার।

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মকবুল আহমেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যদি হেরে যেত তাহলে এ জাতির স্বাধীন সত্তা নিশ্চিহ্ন  হয়ে যেতো। যারা বেঁচে থাকতো তারা হয়তো অন্য পরিচয়ে বেঁচে থাকতো।পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটেছে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আহমেদ খান আরও বলেন, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদকে, স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতাকে।’